পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আটক, থানায় সোপর্দ
প্রকাশিত : ১৬:১২, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক সহ-সভাপতিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের তৃতীয় তলায় ৩১৫নং কক্ষে শুরু হওয়া পরীক্ষা দিতে আসে আটক মামুন।
মামুনুর রশিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, এদিন সকাল থেকে ২০১৯-১৯ শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনালের রিটেক পরীক্ষা চলছিল। মামুনের পরীক্ষা দিতে আসার খবর পেয়ে বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
পরে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গ তাকে গাড়িতে করে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে একজন নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা পরীক্ষা দিতে আসার সাহস করে তা জানতে চায়৷ এছাড়াও একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে কীভাবে বিভাগের শিক্ষকরা সাড়ে ৩ ঘন্টা যাবত সাধারণ শিক্ষার্থীর ন্যায় পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন তা জানতে চায়৷
হট্টগোলের একপর্যায়ে শিক্ষকরা বিষয়টির তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচিত করার আশ্বাস দিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভাগীয় শিক্ষকদের সহযোগিতায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের হাত থেকে বাঁচিয়ে মামুনকে ইবি থানায় সোপর্দ করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্রলীগের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’; ‘দোসরদের ঠিকানা, ইবিতে হবে না’; ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’; ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’; ‘ছাত্রলীগের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’; ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’; ‘দিয়েছি রক্ত, আরো দেব রক্ত’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে আছে সে। এছাড়া একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনেও আছে।
তিনি আরও বলেন, কেউ পরীক্ষা দিতে আসলে যেনো মব সৃষ্টি না হয় সেজন্য শিক্ষকদের মাধ্যমে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে আইনগত কি সিদ্ধান্ত নেয়া যায় সেটা দেখা হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন